ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এইডস রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়েছে। এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছে। এইডস রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় আনতে হলে ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহবান জানান। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৫ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজ্রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিমান কুমার সাহা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার, আইএনএইডস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর লিও কেনী, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের চীফ অফ হেলথ ডা. সাথিয়া ডোরাইসামি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকারের কাছে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রাপ্তির একটি বিষয়। সরকার ও এনজিওদের যৌথ উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা, সেবা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচির আওতায় ১২টি সরকারি হাসপাতালে এইডস রোগ সনাক্ত করা, চিকিৎসা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। ইউএন এইডস এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এ ঘাতক রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। এবছর বাংলাদেশে (নভেম্বর ২০১৪ থেকে অক্টোবর ২০১৫) পর্যন্ত ৪৬৯ জন মানুষ এইডস রোগে আক্রন্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫জন মৃত্যুবরণ করে।