ঢাকা, ৩০ নভেম্বর ২০১৫ (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): আজ সচিবালয়স্থ বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইইউ’র দূতের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে একটি যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠন করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশসমূহ এবং আমাদের বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের ২৫ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত কাউন্সিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জন্য ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর এবং টেলিযোগাযোগ, রিফাইনারি এবং স্যাটোলাইট প্রোগ্রামের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কাজ করবে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি অস্ত্র ব্যতিত ইইউ’র বাজারে সকল প্রকার পণ্য রফতানির সুযোগ দেয়ার জন্য ইইউ’র প্রশংসা করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ইইউ এর আগে কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। দু’পক্ষই কাউন্সিল গঠনে সম্মতি প্রকাশের পর বাণিজ্যমন্ত্রী আজ এ ঘোষণা দেন। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াউডন আজ একজন সিনিয়র ইউরোপীয় কূটনীতিককে নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবিত কাউন্সিলের সদস্য হবে।
মুখপাত্র আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হারে সন্তোষ প্রকাশ করে ইইউ’র দূত বলেন, ইইউ সদস্য দেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বাড়াতে কাউন্সিল গঠনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।