এক নারী অভিযোগ করেছেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে বাসা থেকে তাকে কৌশলে গত বছরের জুলাই মাসে তুলে নিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখেন। এরপর বগুড়া থেকে তার মাকে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন মিজান। অথচ মিজান পূর্ব-বিবাহিত।
ওই নারী আরও জানান, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলায় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। দুটি মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পর পুলিশ কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মইনুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে গঠন করা হয় তিন সদস্যের একটি কমিটি। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশী এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিয়া মাসুদ হোসেন। অভিযোগ ওঠার পরপরই ডিআইজি মিজানকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডিআইজি মিজানের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে জমা হয়েছে। এখন তার শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করে প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’