ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন কর্মপরিকল্পনা অবহিতকরণ’ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়নের জন্য গণমাধ্যম ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় জরুরি বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন অর্জনে জনগণ ও গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে তা অর্জনে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা—এই তিনের সমন্বয় করতে হবে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ কাজের অগ্রযাত্রা তুলে ধরতে হবে জনগণের কাছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে বেসরকারি উদ্যোক্তা, সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও জনগণকে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, কেউ যেন এ উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সফলতার জন্য প্রত্যেক অংশীদারকেই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়ে বিশদভাবে জানতে হবে। উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শত্রু দারিদ্র্য ও লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে নিতে হবে সর্বোচ্চ উদ্যোগ।
প্রধান তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহপরিচালকরাসহ তথ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। এতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনজুরুর রহমানের পরিচালনায় তথ্য কমিশন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও বাজেট শাখা তিনটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করে। কর্মশালায় অংশ নেওয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি সংস্থার ৭০ জন প্রতিনিধি ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন।