জাতিসংঘের তথ্য মতে, রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে তিন লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
শুক্রবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও হতাই বলেন, ‘আমরা কাউকেই সেখানে প্রবশে বাধা দিচ্ছি না।আমরা কোনো সংগঠনকে ওইসব এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে বাধা দিচ্ছি না। তবে নিরাপত্তার কারণে স্থানীয় প্রশাসন সেখানে প্রবেশ সীমিত রাখায় ওইসব এলাকায় ঢোকা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
মিয়ানমারের সমাজকল্যান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আইয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত সংঘাতময় এলাকায় বিদেশি কোনো ত্রাণ সংস্থা প্রবেশ করেনি। তবে এ ধরনের কোনো সংস্থাকে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে কিনা না এমন প্রশ্নে জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
মিয়ানমার সরকারের তথ্য মতে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে ১৭৬টি অর্থাৎ ৩৭.৪ শতাংশ গ্রাম এখন একদম খালি। আরও ৩৪টি গ্রাম আংশিকভাবে জনমানব শূন্য হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম।
মিয়ানমারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম গ্রামে বাস করে তারা।
রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে গত ২৫ আগস্ট রাতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সহিংস সেনা অভিযান শুরু হয়। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।