২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
এ হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতরভাবে আহত হন। গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তাঁর একটি কানের সম্পূর্ণ ও অপর কানের আংশিকভাবে শ্রবণশক্তি হারান। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা মানববর্ম তৈরি করে তাঁদের প্রিয় নেত্রীর জীবন বাঁচান। শেখ হাসিনা এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ দলীয় নেতা-কমী প্রাণ হারান ও কয়েকশ’ নেতা-কমী মারাত্মকভাবে আহত হন।
হানিফ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নেপথ্য নায়কের ভূমিকায় থাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিচার হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করে জাতির কাছে তাঁর মুখোশ উন্মোচন করা এখন সময়ের দাবি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা তৎপর হয়ে উঠেছে। ১৯৭৫ সালের মতো আবারো তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল।