তিনি বলেন, তারা (আইনজীবী) ফৌজদারী মামলার জন্য সারা বছর দৌড়-ঝাঁপ করেন, যাতে গরম গরম টাকা পকেটে পড়ে। জামিনের দিন কোর্টে মানুষের ভিড়ে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। অথচ মামলার জামিন হওয়ার পর ট্রায়াল চলাকালে কোর্টে কখনো আইনজীবী থাকে না বা কখনো আবার আসামি থাকে না।
বিচারপতি বলেন, ‘আইন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে ভূমি আইন হচ্ছে আইনের মূল স্তম্ভ। অথচ সুপ্রিম কোর্টে ভূমি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী হাতে গোনা পাঁচ থেকে ছয় জন। আর ঢাকা কোর্টে মাত্র চার থেকে পাঁচ জন। আর বাকি সব আইনজীবীই ভূমি আইন বিষয়ে জ্ঞাত নয়। আমাদের দেশের বেশির ভাগ ভূমি আইন ব্রিটিশ শাসনামলের করা, যার মধ্যে অনেকগুলো ত্রুটিপূর্ণ। বর্তমানে অনেক ভূমি আইন সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকৃত আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিক ও কৃষকেরা। মাটি ও মানুষের পক্ষে আইন জানতে হলে ভূমি আইন অতীব জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মমর্যাদা সম্পন্ন উন্নত দেশ হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আইনের শাসনের সঠিক বাস্তবায়ন। আইনের শাসন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে এবং দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংবিধানের মেনে চললে সভ্য ও উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়া সম্ভব। এজন্য আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে। সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য আইনের শাসনের প্রতি সবার শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো কারাগারে কাটিয়েছেন।’
ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রিস্টিন রিচার্ডসনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কোষাদ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষাথীরা উপস্থিত ছিলেন।