
গুগল চারটি অভিবাসী অধিকার আদায়ের সংগঠনের জন্য চার মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত একটি সংকট তহবিল সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্টেন ভিউ, নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিককো এবং সিয়াটলে গুগলের ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সমর্থকরা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
গুগলের কর্মীরা হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে ‘গুগলারস ইউনিট’ লিখে ছবি পোস্ট করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা সার্গে ব্রিন মাউন্টেন ভিউ ক্যাম্পাসে বক্তব্য রেখেছেন।
সুন্দর পিচাই বলেছেন, ‘এটা সামান্য কিছু। কিছু মূল্যবোধ থাকে যাতে কখনোই আপোষ করা উচিত নয়। গত তিন দিন ধরে আমরা যে বিষয়টির বিরোধীতা করছি তারমধ্যে এটি একটি। এই সংগ্রাম চলবে।’
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন গুগলের সহকারি পণ্য ব্যবস্থাপক সৌফি ইসমাইয়েলজাদেহ। তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক।
ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নির্বাহী আদেশ কার্যকরের সময় তিনি সানফ্রান্সিসকো থেকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এই আদেশ স্থগিত করা পর্যন্ত তাকে জুরিখে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ইসমাইলজাদাহ গত ১৫ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
শুরু থেকেই গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে আসছেন।
তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবিদের যুক্তরাষ্ট্র আনতে এই আদেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এক ই-মেইল বার্তায় সুন্দর পিচাই তার সহকর্মীদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী গুগলের কমপক্ষে ১৮৭ জন কর্মীর ওপর প্রভাব ফেলবে। এই নির্বাহী আদেশের কারণে তাদের ব্যক্তিগত ভোগান্তি তৈরি হবে।
অভিবাসীদের সহায়তা প্রদানে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, দ্য ইমিগ্রেশন লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার, দ্য ইন্টারন্যাশনাল রিফিউজি কমিটি এবং ইউএন রিফিউজি এজেন্সিকে প্রাথমিকভাবে দুই মিলিয়ন ডলার দিয়েছে গুগল। আরও দুই মিলিয়ন ডলার গুগল কর্মীদের দান করা অর্থ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
এক বিবৃতিতে গুগল জানায়, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কারণে গুগলের কর্মী ও তাদের পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলবে। কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তারা পৃথকভাবে সাহায্য করছেন।