জাহিদুর রহমান তারিক-ঝিনাইদহ, ০৫ নভেম্বর, ২০১৬ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম):
ঝিনাইদহে ৪৫তম সমবায় দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শনিবার সকালে ঝিনাইদহে ৪৫তম সমবায় দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘‘সমবায়ের দর্শন টেকসই উন্নয়ন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দুপুর সাড়ে বারটায় স্থানীয় পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্তর হতে র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে সদর উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় অনুষ্টিত হয়।
জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রউফ মন্ডল, জেলা সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সমবায় অফিসার জাফর ইকবাল,নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী পুলিশ সুপার,এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি,এনজিও প্রতিনিধি,জেলা সড়ক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাগর,বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফেন্সিডিলসহ বৃদ্ধ আটক
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ হাশেম মোল্লা (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বেকার বাজার থেকে তাকে আটক করে রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই অজয় কুমার কুন্ডু। আটককৃত হাশেম মোল্লা মির্জাপুর ইউনিয়নের হুদামাইলমারী গ্রামের বাহাদুর মোল্লার ছেলে।
রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই অজয় কুমার কুন্ডু জানান, ফেন্সিডিল নিয়ে বৃদ্ধ হাশেম মোল্লা নিজ বাড়ী থেকে শেখপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পথিমধ্যে বেকার বাজার পৌছলে তার দেহ তল্লাশী করে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। পরে তাকে শৈলকুপা থানা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ফেন্সিডিলসহ আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
ঝিনাইদহে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা প্রধান শিক্ষককে জালিয়াতির মাধ্যমে বাদ
মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ায় চাকরী হারাতে যাচ্ছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চরমৌকুড়ি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সামছুন নাহার। ছুটিতে থাকার কারণে স্কুল জাতীয় করণের কাগজ পত্রে তার নাম পাঠানো হয়নি।
জালিয়াতির মাধ্যমে মিজানুর রহমান এক শিক্ষকের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামছুন নাহারের ছুটির সময়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন মিজানুর। সামছুন নাহার অভিযোগ করেন তাকে না জানিয়ে সব কিছু গোপনে করা হচ্ছে। স্কুল সরকারী করণ হওয়ার কারণে তাকে বাদ দিতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। খেলা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার। সবাই টাকা খেয়ে আমাকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেন সামছুন নাহার।
এলাকাবাসি জানান, ঝিনাইদহ শৈলকুপার চর-মৌকুড়ি গ্রামে ২০১১ সালে একটি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। মোছাঃ সামছুন নাহারসহ চার জন শিক্ষকের টাকায় স্কুলের জমি কেনা হয়। ওই জমিতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকাীন প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছেন সামছুন নাহার। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী থেকে সামছুন নাহার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান। এই ছুটির সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি মিজানুর রহমান নামের একজনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
এরপর ছুটি শেষে যোগদান করতে গেলে তাকে বাঁধা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনদফা তদন্ত শেষে শৈলকুপা উপজেলার তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদ ৪ নভেম্বর সামছুন নাহারকে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
তারপর থেকে তিনিই প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ উঠেছে স্কুলটি জাতীয়করণের পক্রিয়া শুরু হলে তার বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। মিমাংশিত বিষয় নিয়ে আবারো যাচাই-বাছাই শুরু করা হয়। গত অক্টোবর মাসে গোপনে তাকে বাদ দিয়ে মিজানুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক দেখিয়ে উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি জেলা শিক্ষা অফিসে একটি রির্পোট দিয়েছেন।
রিপোর্টে সামছুন নাহার ৬ মাসের ছুটি নিয়ে এক বছর বিদ্যালয়ে আসেননি বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে সামছুন নাহার জানান, তাকে সরানোর জন্য এই মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে করতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে স্ব-পদে আসতে হয়েছে। এ জন্য তার ৬ মাস পেরিয়ে গেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি খয়বার হোসেন জানান, সামছুন নাহার ছুটিতে থাকাকালে মিজানুর রহমানকে প্রতিষ্ঠান দেখভাল করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় তাকে ভুল বুঝিয়ে একটি নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন, সামছুন নাহারই প্রকৃত প্রধান শিক্ষিকা। তারপরও যাচাই-বাছাই কমিটি তার নাম কেন বাদ দিলেন এটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, নতুন করে অভিযোগ উঠায় নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হয়। ওই কমিটি মিজানুর রহমানের পক্ষে মত দিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, যাচাই বাছাই কমিটি একটি রির্পোট দিয়েছেন। সামছুন নাহার একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঝিনাইদহ ও শৈলকুপায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট ও ভাতা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সাথে দাবী করা হচ্ছে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার। যাদের কাছে সঠিক কাগজপত্র থাকবে আর দাবীর সমর্থনে অন্তত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সনাক্ত করবেন তাদেরকে চুড়ান্ত তালিকায় নাম রাখার দাবী উঠেছে।
শনিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শহরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যনারে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট ও ভাতা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। শৈলকুপা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার নেতৃত্বে মানবন্ধনে শৈলকুপার মুক্তিযোদ্ধাগন অংশ গ্রহন করেন।
মনোয়ার হোসেন মালিথা তার বক্তব্যে বলেন, এমন কিছু লোক আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও গেজেটে নাম উঠেছে। তারা নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। এ সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেট থেকে বাদ দিয়ে তাদের ভাতা বাতিল করতে হবে।
শৈলকুপা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, গেজেট ও লাল বার্তা মিলেয়ে ৮৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যাদের মধ্যে ১১৮ জনের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে যানা গেছে বিভিন্ন সময় ঝিনাইদহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাধরণ মানুষের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন।
অন্যদিকে অনেক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধ করেও তাদের নাম তালিকায় ওঠেনি। সম্প্রতি মাগুরার আব্দুর রাজ্জাক, ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনগরের জয়গুন নেছা ও সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল জলিলকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাদের সনদ আছে। কোন সেক্টরে কার অধীন যুদ্ধ করেছেন তাও প্রমান আছে। এতো কিছুর পরও তাদের নাম তালিকায় উঠছে না।
এ নিয়ে জেলাব্যাপী অসন্তোষ বিরাজ করছে। ২০১০ সালের ২৫ মে এ ধরণের একটি তালিকা তৈরী করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে পাঠান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক। তৎকালীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হক খান দায়িত্ব নিয়ে জেলাব্যাপী যাচাই বাছাই করেন। তার এ কাজে মুক্তিযোদ্ধারা সহায়তা করেন।
সেই তালিকায় ঝিনাইদহে ৪৮৮ জন, কালীগঞ্জে ৯০ জন, শৈলকুপায় ৫০৫ জন, কোটচাঁদপুরে ১০১ জন, মহেশপুরে ১১৮ জন ও হরিণাকুন্ডুতে ১০৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম অর্ন্তভুক্তি হয়। সেই হিসাব মতে সারা জেলায় ১৪০৭ জন মুক্তিযোদ্ধা থাকার কথা।
কিন্তু বর্তমান জেলায় ২৩০৯ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে নুতন করে যতবার যাচাই বাছাই করা হয়েছে ততবারই মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে। বক্তব্য জানতে এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মকবুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ঝিনাইদহে এবার আর কে এন্টারপ্রাইজ অটো রাইস মিলে ডাকাতি বিপুল পরিমাণ চাল লুট
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার এলাকায় আর কে এন্টারপ্রাইজ অটো রাইস মিলে শুক্রবার মধ্যরাতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা মিল থেকে আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা মুল্যের প্রায় ৭০০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে গেছে। রাইস মিলের মালিক মনিরুজ্জামান মনা জানান, সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার এলাকায় তার একটি অটো রাইস মিল রয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মিলে একদল স্বশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা মিলের ৩ জন নৈশ প্রহরিকে বেধে রেখে ২ টি ট্রাকে করে ৬৯১ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
ডাকাতরা যাওয়ার সময় মিলটিতে বসানো সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক ও মনিটর নিয়ে যায়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাজার আলী শেখ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মিলটির ৩ জন নৈশ প্রহরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হয়েছে। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি একাধিক চাল লুটের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এ সব লুন্ঠিত চাল উদ্ধার করতে পারেনি। এর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারায়নপুর ত্রীমোহনী এলাকার সততা খাদ্য ভান্ডারে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে ১২ লাখ টাকা মুল্যের ৭৬৩ বস্তা মিনিকেট চাল লুট করে। লুণ্ঠিত ওই সব চাল আজো উদ্ধার হয়নি।
গত বছর একই কায়দায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের হাজির মোড় থেকে দুর্বৃত্তরা বাসুদেব রায়ের চালের আড়ৎ থেকে ৩৬১ বস্তা, ভাটই বাজার ও ঝিনাইদহ শহরের সিটি মোড় থেকে ছয়শ বস্তা চাল লুট করলেও পুলিশ এখনো লুন্ঠিত চাল উদ্ধার করতে পারেনি বলে মিল মালিকরা অভিযোগ করেছেন।
ঝিনাইদহে জেমিনি ফোর্স এনজিও কর্মী রবিকে ৩দিনেও ফেরৎ দেয়নি
জিডিও নেয়নি-অভিযোগ রবির স্ত্রীর
ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকা থেকে সাদা পোশাকে রবিউল ইসলাম রবি নামের এক এনজিও কর্মীকে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরানের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে রবিউল ইসলামের স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু এ তথ্য জানিয়েছেন। রবিউল ইসলাম শহরের চাকলাপাড়ার মৃত লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে তার স্বামী ঝিনাইদহ শহরে যান।
ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে ইমরান নামে জেমিনির কনেস্টেবল তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় রবির সাথে থাকা শাহীন, স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশে দাড়িয়ে থাকা লোকজন দেখেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।
রবিকে সেখান থেকে গলির মধ্যে নিয়ে সাদা একটি মাইক্রাবাসে অস্ত্রেও মুখে তুলে নেয় জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরান। সেই থেকে আজ অবধি তিন দিন ধরে এনজিও কর্মী রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজ আছেন।
এরপর থেকেই রবি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার বলেন তিন, চার দিন পরে আসবেন-বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানায় রবি নিখোঁজের জিডি না নিলে আগামি কাল রবিবার ঝিনাইদহ জর্জকোর্টে রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানানো যাবে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার জেমিনি ফোর্সের এস আই আমিনুল ইসলাম বিষয়টি অস্বিকার করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমরান নামে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল আছে-তবে সে কাউকেই ধরেনি। তাছাড়া আমি বিষয়টি জানিনা।
উল্লেখ্য, গতবুধবার বিকালে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কাউছার আলীকে তুলে আনেন।
পুলিশ প্রথমে অস্বীকার করলেও কর্মচারীদের আন্দোলনের হুমকীতে বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কাউছার তাদের হেফাজতে আছে।
ঝিনাইদহে জহুরা খাতুন ঝি’র কাজ করে মেধাবী ছাত্র ভাই সুমনকে
টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারছেন না
ঝিনাইদহে বোন জহুরা খাতুন পরের বাড়িতে ঝি’র কাজ করে মেধাবী ছাত্র ভাই সুমনকে টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারছেন না। পরের বাড়ি ঝি এর কাজ করে ভাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা বুঝি আর সফল হলো না বোন জহুরা খাতুনের। এতোদিন লোকের বাড়ি বাড়ি পুরানো কাপড় চেয়ে ভাইয়ের আব্রু ঢেকেছেন জহুরা। সেই কাপড় পড়ে ভাই সুমন স্কুল কলেজে পড়েছেন। ভাই সমুনও বোনের কষ্টের প্রতিদান দিয়েছেন।
এস,এস,সি পরীক্ষায় সুমন জিপিএ- ৫ ও এইচ,এস,সিতে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ভর্তির মেধা তালিকায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু বোন আর পারছেন না। এতিম সুমন ও তার বোন জহুরা বহু আগেই হারিয়েছেন বাবা আব্দুল লতিফ ও মা হাজেরা খাতুনকে।
সুমন জানিয়েছেন ভার্সিটির ভর্তির রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকে তিনি হতাশ হয়ে বসে আছেন। ঝি’র কাজ করে বোনের পক্ষে ভর্তি, ভার্সিটিতে থাকা খাওয়া, পোশাক কেনা সম্ভব নয়। মেধাবী সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এফ ইউনিটে ৩৭তম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডি ইউনিটে ৪৮ তম স্থান অর্জন করেছেন। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তিসহ থাকা, খাওয়া ও পোশাক আশাক কিনতে পারছেন না। তারা এখন ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার ডাঃ কে আহম্মদ সড়কে অন্যের দেওয়া বাড়িতে বসবাস করেন।
বোন হাজেরা খাতুন জানান, গাঁয়ের রক্ত পানি করে ভাইকে বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ার সুযোগ করেছি। এখন আর আমার সমর্থ নেই। সংসারে আরো এক প্রতিবন্ধি বোন রয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছি।
হাজেরা আক্ষেপ করে বলেন, সুমনের জীবনে কোন নুতন কাপড় বা এক টুকরা মাছ বা গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারিনি। যা কিছু করেছি সব চেয়ে চিন্তে। তিনি এতিম সুমনকে ভার্সিটিতে ভর্তি, থাকা ও পোশাক কেনার জন্য সমাজের বিত্তবানদারে প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এতিম সুমনের সাথে যোগাযোগ: মাহমুদ হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব- ০১৭১১-৪৫২০৫১।
২০ বছরেও কেন অনুমোদন পায়নি ইবি ল্যারেটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যারেটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার ২০ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন পায়নি। যার ফলে এখানকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে একটি মোটা অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত বাজেটের অর্থ থেকে।
এছাড়াও নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ক্লাসরুম সঙ্কটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। নেই সাইন্সল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব এবং লাইব্রেরী। একমাত্র বিদ্যালয় ভবনটির অবস্থাও জরাজীর্ণ।
শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ এবং নিরাপত্তার জন্য নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। শিক্ষক সঙ্কট তো রয়েছেই। এসব কারণে প্রায় শিক্ষার্থী শূন্য বিদ্যালয়টি।বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ১৯৯৬ সালে ল্যাবরেটারি স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৯৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩১ তম সিন্ডিকেটের ৫নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে থানা গেটের পাশে বর্তমানে থানার জন্য ব্যবহৃত টিনের ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও ২০০৪ সালে ক্যাম্পাসের উত্তর সীমান্তে নির্জন ও শান্ত পরিবেশে একটি স্কুল ভবন তৈরি করা হয়।
কিন্তু তিনতলা ভবনটি তখন সম্পূর্ণ না হওয়ায় ক্লাসরুম সঙ্কটে পড়ে স্কুলটি।দুর্বল অবকাঠামোয় ভবনটি তৈরি হওয়ায় কয়েক বছরের মধ্যেই ছাঁদ ও দেয়াল চুইয়ে বৃষ্টির পানিতে শ্রেনী কক্ষ ও তার আসবাব গুলো নষ্ট হতে বসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকালীন নীতিমালা অনুযায়ী এখানের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় চাকরীবিধির আওতায় থাকার বিধান থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।
এখানকার শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠার ২০ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত চাকরীর আওতাধীন হতে পারেননি। তাদের জন্য ইউজিসি কর্তৃক বছরে ১৫ লাখ টাকা থোক বরাদ্দের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এক মাসের বেতন ৬ লাখ ৪০ হাজার ৩২৩ টাকা। দেখা যাচ্ছে ইউজিসি কর্তৃক বরাদ্দকৃত টাকা আড়াই মাসেরও কম সময়ের বেতন পরিশোধ করতে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বছরের সাড়ে ৯ মাসে ৬২ লাখ টাকাসহ তিনটি বোনাস বাবদ প্রায় ১২লাখ টাকা মোট ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এতে প্রত্যেক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট থেকে একটি বড় অঙ্কের টাকা স্কুলকে ঘাটতি দিতে হয়।
এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা পেনশন বাবদ অথবা কেউ মারা গেলে তাদের জন্য নেই কোনো তহবিলের ব্যবস্থা। এছাড়াও ভবিষ্য তহবিল, অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট, ক্যারিয়ার বেনিফিট, আবাসিক সুবিধা, জীবন বীমা, বেনোভোল্টেন্ট ফান্ড সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো তাদেরও এসকল ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক মোল্লাহ বলেন, শিক্ষার গুনগত মান অন্যান্য স্কুলের তুলনায় এখানে অনেক ভালো। কিন্তু শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাদের সন্তানকে এ স্কুলে ভর্তি না করিয়ে ঝিনাইদহের ক্যাডেট কলেজসহ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের নামি-দামী স্কুলে ভর্তি করাচ্ছে।
সে কারণে স্কুলটি শিক্ষার্থী সঙ্কটে রয়েছে। এখানকার অধিকাংশ ছাত্র লোকাল। সেজন্য রেজাল্ট চাইলেও ভালো করা সম্ভব হচ্ছে ন। এছাড়া এখানকার শিক্ষকদের চাকরি আজও নিয়মিত করা হয়নি। মাসের শেষে বেতনের জন্য ফাইল নিয়ে অফিসে অফিসে ধর্ণা দিতে হয়।
স্কুলটির ত্বত্তাবধায়ক অধ্যাপক ড. মেহের আলী বলেন, বিদ্যালয়টির সমস্যা সমাধানে ও উন্নয়নে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিক ভুমিকা পালন করছে। এখানে আমাদের সন্তানেরা পড়াশুনা করে। স্কুলটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া শিক্ষকদের চাকরির অনিশ্চয়তা দূরীকরণে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও ইউজিসির সুদৃষ্ঠি।
কি হচ্ছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ? ব্যাপক ভোগান্তিতে রুগীরা ! দেখার কি কেউ নেই ?
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লোকবল সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ফলে ঠিকমত সেবা দিতে পারছে না চিকিৎসকরা। বিভিন্ন কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভদের দৌরাত্বে বাইরে থেকে ঔষধ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। ফলে সঠিক সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন রুগীরা। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চলছে ১০০ শয্যার জনবল নিয়ে।
এদিকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে প্রতিদিনই লেগে থাকে ইজি বাইকের দীর্ঘ লাইন। কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হয়ে দাড়ায় রুগীও প্রবেশ করতে পারে না হাসপাতালে। শুধু রুগী নয়, এ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিস কোন গাড়িই ঠিকমত হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেনা।
ঝিনাইদহ জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ১৯৬৮ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। হাসপাতালটি এখন শয্যা, জনবল, চিকিৎসক সংকট সহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জোরিত।
বর্তমানে এটি চলছে ১০০ শয্যা দিয়ে, যদিও ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নিত করণের ঘোষণা দেন। এরপর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি কার্যক্রম। কবে শুরু হবে তাও বলতে পারেন না কেউ।
বহি:র্বিভাগের ডাক্তারদের সিরিয়ালের জন্য টিকিট কাউন্টারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইনবহি:র্বিভাগের ডাক্তারদের সিরিয়ালের জন্য টিকিট কাউন্টারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইনপ্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে। বহি:বিভাগ, জরূরী বিভাগ ও ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে রুগীরা। কিন্তু মিলছে না কাঙ্খিত সেবা।
বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিরিয়াল করতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় রুগীদের।এখানেই শেষ নয় ভোগান্তি। বহি:বিভাগে বিপুল সংখ্যক রুগীকে গাদাগাদি করে দেখাতে হয় ডাক্তার। বেড না পাওয়ায় ভর্তি রুগীদের স্থান হচ্ছে মেঝেতে।
ডাক্তাররা সরকারী ঔষধ না লিখে বাইরে থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ লেখেন বলে অভিযোগ রুগীদের। রুগীদের সাথে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দু:ব্যবহার তো রয়েছেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে ১ ঘন্টা চলার পর আর চলেনা একমাত্র জেনারেটর। এসময় থেমে থাকে সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে আছে ১১ জন, ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের স্থলে আছে ১০ জন। হৃদরোগ ও মেডিসিনে ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে আছে মাত্র ১জন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
প্রতিটি বিভাগে ১ জন করে নার্স দায়িত্ব¡ পালন করছেন।হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রুগীরা অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তাররা ঠিকমত রুগী দেখেন না। নার্সদের কাছে কোন প্রয়োজনের গেলে তারা খুব খারাপ ব্যবহার করে।
ডাক্তাররা হাসপাতালে অপারেশন না করে আমাদের পাঠিয়ে দিচ্ছে বাইরের ক্লিনিকে। পরে হাসপাতালের ডাক্তাররাই সেখানে গিয়ে আবার অপারেশন করছেন। সিট না পাওয়ায় আমাদের স্থান হচ্ছে মেঝেতে, ফলে রুগী সুস্থতার বদলে অস্বুস্থ হয়ে পড়ছে।
রুগীরা আরো জানান, সরকারী হাসপাতালে ফ্রি ঔষধ দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ডাক্তারই যে ঔষধ লেখেন তা আমাদের বাইরে থেকে কিনে খেতে হয়। সদর হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান খোকা জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রিফ্রিজেন্টেটিভদের দৌরাত্ব মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে।
এই দৌরাত্ব এখনই থামানো না গেলে ভবিষ্যতে দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সিনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মোকাররম হোসেন জানান, চিকিৎসক কম থাকায় আমরা ঠিকমত সেবা দিতে পারি না। কেননা যে পরিমান চিকিৎসক আমাদের দরকার সেই পরিমাণ চিকিৎসক নেই।
ফলে একজন চিকিৎসকের দারা তো ভাল করে এ্যাতো রুগীর সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ব্যাপক সমস্যার কথা স্বীকার করে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম জানান, হাসপাতালে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা গুলো একদিনে তো সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমস্যা গুলো আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।
২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার রুগী ভর্তি হয়ে এবং বহি:বিভাগ ও জরুরী বিভাগ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ রুগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। প্রতিদিন ২ শতাধীক রুগী ভর্তি হয়ে এবং জরুরী ও বহি:বিভাগের মাধ্যমে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ শ’ রুগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
তবে অচিরেই সকল সমস্যা মুক্ত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল আবারো মানুষের সেবার ক্ষেত্রে সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এমনটিই প্রত্যাশা ঝিনাইদহ জেলাবাসীর।