আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম):
ঝালকাঠিতে প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় বাছাই ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
‘খেলায় বিকশিত হোক তারুণ্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝালকাঠির টেনিস গ্রাউন্ডে রোববার বিকালে পাঁচ দিনব্যাপী জেলা পর্যায়ের টেনিস খেলোয়াড় বাছাই ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’ এর আওতায় বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সহযোগিতায় এ কার্যক্রমের আয়োজন করেছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সফিউল আলম, ক্রীড়া পরিদফতের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক, সহকারী কমিশনার মোঃ রওশন আলী, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ক্রীড়া অফিসার শামসুল আজিমসহ ক্রীড়া সংগঠকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিকেএসপির চিফ কোচ ও টেনিস ফেডারেশনের সদস্য রোকন উদ্দিন আহমেদ এবং টেনিস ফেডারেশনের কোচ মোঃ আসমত উল্লাহ খেলোয়াড় বাছাই ও প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন মেয়েসহ মোট ৮০ জন টেনিস খেলোয়াড় এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্য থেকে প্রতিভাবানদের দীর্ঘ মেয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য ইয়েস কার্ড দেয়া হবে।
ছাত্রী জানেনা এলাকাবাসীর কথিত অভিযোগ
ঝালকাঠির রাজাপুরে কলেজ শিক্ষককে সা:বরখাস্ত করেছে নীতি নির্ধারনী পর্ষদ
ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজে এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানীর অভিযোগে ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নীল কমল সানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষককে অভিযোগের বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলেও তিনি নোটিশের কোন জবাব প্রদান না করায় গত ২১সেপ্টেম্বর কলেজের নীতি নির্ধারনী পর্ষদ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রোববার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌনহয়রানীর কারনে ওই কলেজ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সূত্র ও কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, দ্বাদশ শ্রেণীর এ ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথন সূত্রধরে প্রভাষক নীল কমল সানা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এপর্যায়ে কলেজ ছাত্রী তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে হওয়া কথাবার্তার বেশকিছু ভয়েজ রেকর্ড করে রাখেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী তার নিজ এলাকা পুটিয়াখালির একটি মোবাইলের দোকানে গান ডাউনলোড করতে গেলে দোকান কর্মচারি শিক্ষার্থীর মেমোরিকার্ড থেকে ওই কথোপকথন কপি করে রাখেন।
এরপর ফোন রেকর্ড থেকে শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমালাপের ভয়েজ রেকর্ড দোকান কর্মচারির কম্পিউটার থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে কলেজের অধ্যক্ষ রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান ঘটনা কলেজ সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এনিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ও সভাপতির উপস্থিতিতে ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক কে এ বিষয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ ও এক সপ্তাহ পরে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে নীল কমল সানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে দ্বাদশ শ্রেণীর যে ছাত্রীকে কথিত যৌনহয়রানীর অভিযোগের দায়ে এ ধরনের আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেই ছাত্রী বা তার পরিবার কলেজের অধ্যক্ষ ও নীতি নির্ধারনী পর্ষদের নিকট কোন প্রকার অভিযোগ না করা সত্বেও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও প্রভাষকদের মধ্যে। নাম প্রকাশ না করার মর্থে এক প্রভাশক বলেন, ভূক্তভুগীর অভিযোগ ছাড়া বাহিরের লোকের অভিযোগে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অনৈতিক ও নিয়ম বর্হিভূত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ সভাপতি শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে শোকজ করে তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। সে সঠিক কোন জবাব না দেওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে স্কুল শিক্ষকের ঘরে ডাকাতি
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পল্লীতে এক শিক্ষকের ঘরে ডাকাতি হয়েছে। শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের শেখরকাঠি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের ঘরে এ ডাকাতি হয়েছে বলে নলছিটি থানার ওসির দায়িত্বে সেকেন্ড অফিসার এস আই গাজী ফজলুর রহমান নিশ্চিত করেন। চার জনের একটি ডাকাতদল সেমিপাকা ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ১৬হাজর ৩২টাকা, ২টি স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া স্বর্ণের চুরি নিয়ে যায়।
রোববার সকালে ঘটনা শোনার পর নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার গাজী ফজলুর রহমান ও এস আই জাকির হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝালকাঠির সহকারি পুলিশ সুপার(সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ডকাতি মামলা নথিভূক্ত হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।