স্পোর্টস ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ার থেকে বিদায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসলেও আন্তর্জাতিকভাবে কোচের ভূমিকায় এখনই নিজেকে নিয়োগিত করার কোন আগ্রহ নেই জেসন গিলেস্পির।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১ টেস্টে ২৫৯ উইকেট দখল করা সাবেক এই পেসার আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ইয়র্কশায়ারের কোচ পদ থেকে সড়ে দাঁড়াচ্ছেন। ধারণা করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিতেই হয়তবা তিনি ইংলিশ কাউন্টি ছেড়ে আসছেন। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেহম্যান তার সাবেক সতীর্থ গিলেস্পিকে অস্ট্রেলিয়া দলের স্থায়ী বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ডেভিড সাকার চলে যাওয়ায় বর্তমানে বোলিং কোচের পদটি শুণ্য রয়েছে। কিন্তু পরিবারের সাথে আরো বেশী সময় কাটানোর নিমিত্তে গিলেস্পি এই মুহূর্তে জাতীয় দলের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাননা বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ৪১ বছর বয়সী গিলেস্পির পরিবারে স্ত্রী আনা ছাড়াও ৩-১০ বছর বয়সী চারজন সন্তান রয়েছে।
এ সম্পর্কে গিলেস্পি বলেছেন, লেহম্যান আমার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে পুরোটাই আমার সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই ভূমিকার আমাকে বছরের ৩০০ দিনই ঘরের বাইরে অনত্র কাটাতে হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে একথা বলছি না যে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোন সম্ভবনা নেই। কিন্তু এই বয়সে বাচ্চাদের সময় দেয়াটা জরুরী। তারা একটু বড় হলে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করা যাবে।
আসন্ন বিগ ব্যাশ লীগে গিলেস্পি এডিলেড স্ট্রাইকার্সের কোচের দায়িত্বে বহাল থাকবেন। জাতীয় দলের জন্য স্থায়ীভাবে নয় অন্তবর্তীকালীন হিসেবে কাজ করতে রাজী আছে তিনি। কিন্তু সবকিছুর পরেও এখনই এসব নিয়ে তিনি কোন কিছু চিন্তা করেননি।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে পিটার মুরকে সড়িয়ে কোচ হিসেবে গিলেস্পি ফেবারিটের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। ট্রেভর বেলিসকে ঐ সময় বিবেচনা না করার বিষয়টি অনেককেই বিস্মিত করেছিল।