(নিচে ভিডিও দেখুন)
কুরছিয়া পারভীন জুঁই-ফরিদপুর, ১৫ আগষ্ট, ২০১৬ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): আজ সোমবার সকালে ফরিদপুরের কাদিরদি কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ নুরুজ্জামান মোল্লার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশন-এর আহবায়ক. মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি. লালন গবেষণা একাডেমী ও ঢাকা টিভির চেয়্যারম্যান. বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদক. বঙ্গবন্ধু পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব. বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা নেপথ্যে ষড়যন্ত্র করেছে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচনের সময় এসেছে।
জাতীয় শোক দিবসে কথিত জন্মদিনের কেক না কাটায় খালেদা জিয়ার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে গোটা জাতির যে শোকের বহিঃপ্রকাশ, তা খালেদা জিয়া হয়তো উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা চাই গণতান্ত্রিক যে চর্চা করার মানসিকতা তা সৃষ্টি হোক। তিনি অন্তত গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। শুধু এবার নয় শোক দিবসে কোনো দিনই ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন না করার জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমরা গর্বিত মায়ের সন্তান। কারন তোমাদের জন্ম বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা এই বৃহত্তর ফরিদপুরে। তোমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে তোমাদের জীবন গড়ে তোল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে মুছে ফেলা যায়নি বরং তিনি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র হতো না। বঙ্গবন্ধু সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাকে ও পরিবারের ১৬ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের খুনীচক্র এখনো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। আর কেউ যেন জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রঞ্জন কুমার ব্যানার্জী, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন মোল্লা ও কাবেরী শেলী, সহযোগী অধ্যাপক লিয়াকত আলী, নারায়ন চন্দ্র দত্ত, নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, কেরামত আলী মোল্লা, অসিত বরণ বিশ্বাস, গাজী আলমগীর কবির, মিজানুর রহমান মুন্সী, সহকারী অধ্যাপক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ইশারত আলী, মিজানুর রহমান মিয়া, প্রভাষক হাসান আল মামুন, রাকিবুল ইসলাম, গ্রহন্থাগারিক আবুল খায়ের মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন শেখ, কাওছার আহমদ, আব্দুল কালাম ফকির, আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা মন্নু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন- সহকারী অধ্যাপক সমীর জোয়ারদার।
অনুষ্ঠানে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কবিতা, গজল, হামদ নাত, গান ইত্যাদির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শাহাদৎ বরণকারীদের স্মরনে এক দোওয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোওয়া পরিচালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক কেরামত আলী মোল্লা।
এর আগে সকাল ৯-২০ মিনিটে কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ নুরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে এক বিশাল র্যালী কলেজ থেকে বের হয়ে কাদিরদি বাজার ও কাদিরদি হাইস্কুল হয়ে ৫ কিলোমিটার প্রদক্ষিন করে কলেজের শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এ ধরনের বিশাল র্যালী এ অঞ্চলের মধ্যে প্রথম।