ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ আগষ্ট, ২০১৬ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ওবামার সময়কে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে মন্তব্য করার পর তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি দুর্বল গোছের মানুষ। তিনি অকার্যকর।’ ইউক্রেনের ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে সংকট মোকাবেলায় ওবামার পদক্ষেপকে তিনি উপহাসও করেন।
এর আগে ওবামা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে মন্তব্য করেন এবং রিপাবলিকান পার্টি কেনো তাকে প্রার্থী হিসেবে এখনো সমর্থন দিচ্ছে সে প্রশ্নও তোলেন।
আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা লড়াই শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা পাওয়ার লড়াই শুরুর পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সর্বশেষ হিলারি ক্লিনটনকে শয়তান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার আগে যুদ্ধের ময়দানে নিহত এক মার্কিন মুসলিম সৈনিকের মাকে নিয়ে কটূক্তি করে সমালোচিত হয়েছেন। এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বারাক ওবামা রিপাবলিকান প্রার্থীকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন।
ওবামা বলেন, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার একেবারেই অযোগ্য এবং তিনি এর প্রমাণ অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা মার্কিন রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বলে মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এসব বিতর্কিত মন্তব্য করে ট্রাম্প রিপাবলিকান ভোটারদের বাহবা পেলেও তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে স্বয়ং তার নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতা এখন তার সমালোচনা করছেন।
বারাক ওবামা প্রশ্ন তুলেছেন তারপরও কেন তাহলে রিপাবলিকান পার্টি তাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিচ্ছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ওবামা সম্ভবত দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট হবেন।
তিনি রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের সমর্থনেরও নিন্দা জানান। তবে তিনি এও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে ওবামার চেয়ে আমি অনেক বেশি জানি।’
তিনি আরো বলেন, ওবামা ও হিলারি ক্লিনটন মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করেছে এবং হিলারি ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করে দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত কয়েক দিনের জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি।