
বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযান প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার একজন জঙ্গির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আমরা এই বাড়িটির খোঁজ পাই। পরে পুলিশ অভিযানে নামে।বাড়িটির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের লাইন বন্ধ করে অভিযান শুরু করা হয়। ছয় তলা ভবনের উপরের তলায় তারা চার মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেয়।
গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে অন্তত তিনজন জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (জঙ্গি প্রতিরোধ টিম) সানোয়ার হোসেন জানিয়েছে। ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।কয়েকটি গ্রেনেড ভেতরে ট্রাঙ্কের ভেতরে রাখা ছিল।সেগুলোও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অভিযানের আগে ভবনের অন্য বাসিন্দারের সরিয়ে নেয়ার সময় জেএমবির কোনো সদস্য তাদের সঙ্গে বের হয়ে গেছেন কি না তা জানা যায়নি।গতকাল রাত একটা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। সকাল ১০টা থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানের সময় সাতজনকে আটক করে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোয়াত ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।র্যাবও ঘটনাস্থল হাজির ছিলেন।
অভিযানের প্রায় সিংহভাগ বেলা ১২টার মধ্যে শেষ হয়। বেশ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর আগেও এ ধরনের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানের সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। জবাবে পুলিশও গুলি চালিয়েছে। অভিযানের আগে ভবনের অন্য সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।